বড় হয়ে মেয়ে নামকরা চিকিৎসক হবে এমন স্বপ্ন ছিল বাবার। কিন্তু বাবার চাওয়াকেও ছাড়িয়ে গেলেন গর্বিত মেয়ে। বলছি আন্তর্জাতিক আর্চারিতে বাংলাদেশের নারীদের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন দিয়া সিদ্দিকীর কথা। দেশসেরা আর্চার রোমান সানার সঙ্গে জুটি বেঁধে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়েছেন। বিশ্বের বুকে গর্বিত করে চলেছেন ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই দেশকে।
৮ মার্চ বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বিশেষ এ দিনটিতে কী ভাবছেন তারকা এ আর্চার। সময় সংবাদের প্রতিবেদক মো. ফখরুল ইসলামের সঙ্গে একান্ত ফোনালাপে উঠে এসেছে সে প্রসঙ্গই।
দিয়া সিদ্দিকী বলেন, দেখুন শুরু থেকে আজকের যে দিয়া সিদ্দিকিকে আপনারা চিনেন এবং জানেন, দীর্ঘ এ পথ পরিক্রমায় কখনো এমন মনে হয়নি যে আমি নারী বলে বঞ্চিত হচ্ছি। আমাদের ফেডারেশন বলেন কিংবা কোচ এমনকি বিকেএসপিতেও কখনো এমনভাবে দেখা হয় না যে কে পুরুষ আর কে নারী। কখনো কোনো বৈষম্যের শিকার হননি বলেও জানান তিনি।
তবে দেশসেরা এ আর্চার মনে করেন, মেয়েদের কিছু বিশেষ রেসপনসিবিলিটি আছে, যেগুলো নিজেদের ধরে রাখতে হবে। এটা সম্পূর্ণ নিজেদের বিষয়।
আজকের এ বিশেষ দিনটি নিয়ে তিনি বলেন, আজকের দিনটি আমাদের মেয়েদের জন্য খুবই বিশেষ একটা দিন। আমি চাইব যে, আজকের দিনে পুরুষরা যেভাবে নারীদের বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে, স্মরণ করছে। প্রতিটি দিনই যেন এভাবে আমাদের দেখা হয়। কখনো যেন মেয়েরা ইভটিজিং কিংবা যৌন হেনস্তার শিকার না হয়। প্রতিটি দিনই হোক নারী দিবস।
বলেন, আমাদের দেশের মেয়েরা এখন সবক্ষেত্রেই নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ রাখছে। ক্রীড়াক্ষেত্রে যদি বলেন নারী ক্রিকেটাররা বিশ্বমঞ্চে খেলছে। ফুটবলেও আমরা এখন এশিয়ার পরাশক্তি। এ ছাড়া আমাদের আর্চারিতেও মেয়েরা ভালো করছে।
নারী দিবসের এই ক্ষণে সব নারীর জন্য বিশেষ একটি বার্তাও দিয়েছেন দিয়া সিদ্দিকি। বলেন, নিজেদের অধিকার সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। আমরা কখনো ছোট না কিংবা ছেলেদের থেকে আমরা কোনো অংশেই কম না। আমরাও পারি।
দেশসেরা এ ক্রীড়াবিদের ইচ্ছে আছে ভবিষ্যতে নারীদের নিয়ে কাজ করার।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।